রেজিস্টর কাকে বলে? রেজিস্ট্যান্স কি? রেজিস্টরের প্রতীক ও একক। Resistance
রেজিস্টর সার্কিটে সংযোগ পদ্ধতি
রেজিস্টরঃ
রেজিস্টর একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে রোধক। ইহা দুই প্রান্ত বিশিষ্ট একটি প্যাসিভ ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস। রোধ নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে এটা বাধা প্রধানকারি একটা ডিভাইস। পরিবাহির মধ্যদিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বাধা প্রধানকারি ডিভাইস-কে রেজিস্টর বলে।
রেজিস্ট্যান্সঃ
পরিবাহির যে বৈশিষ্ট্যর কারনে বিদ্যুৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় উক্ত বৈশিষ্ট্যকে রেজিস্ট্যান্স বলে।
প্রকাশ , প্রতীক ও একক:
রোধকে R দিয়ে প্রকাশ করে হয়ে থাকে। এর একক ওহম (Ω) । নিচের চিত্রের মধ্যে প্রতীক দেওয়া হলো যেগুলো বিভিন্ন সার্কিট বোর্ড ও সার্কিট ডায়াগ্রামে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রকারভেদঃ
রেজিস্টর কে মুলত দুই প্রকার
ফিক্সড রেজিস্টর
কার্বন কম্পোজিট
কার্বন পাইল
কার্বন ফিল্ম
প্রিন্টেড কার্বন
থিক এবং ফিল্ম
মেটাল ফিল্ড
মেটাল অক্সাইড ফিল্ড
ওয়্যার উন্ড
ফয়েল
ভেরিয়েবল রেজিস্টর
এডজাস্টেবল
পটেনশিওমিটার
রেজিস্ট্যান্স ডিকেড বক্স
ফিক্সড রেজিস্টর :
যে রেজিস্টর এর মান ফিক্সড থাকে বা যে রেজিস্টরের মান তৈরির সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় এবং যার মান পরিবর্তন করা সম্ভপ না তাকে ফিক্সড বা অপরিবর্তনশীল রেজিস্টর বলা হয়ে থাকে।
ভেরিয়েবল রেজিস্টর:
যে রেজিস্টরের মান প্রয়োজন অনুসারে কমানো-বাড়ানো সম্ভপ তাকে ভেরিয়েবল রেজস্টর বা পরিবর্তনশীল রেজিস্টর বলে।
রেজিস্টরের কাজঃ
সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহ বাধা প্রধান করা বা ভোল্টেজ ড্রপ ঘটানো রেজিস্টরের প্রধান কাজ। এখন প্রশ্ন আসতে পারে কেন সার্কিটে বা কোন পার্টসকে কম ভোল্ট বা কারেন্ট প্রবাহে বাধা প্রধান করার প্রয়োজন পরে।
তাহলে একটি উদাহরন এর মাধ্যমে বলি, ধরুন একটা সার্কিটে এল ই ডি আছে ( লাইট ইমেটিং ডায়োড ) যার ভোল্টেজ রেঞ্জ ১.৫ থেকে ৩ ভোল্ট। কোন কারনে যদি সোর্স ভোল্টেজ ৩ ভোল্টের বেশি চলে আসে তখন কম্পোনেন্ট (এল ই ডি ) টি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এটি যাতে না ঘটে সে জন্য রেজিস্টর ব্যবহার করা হয়। রেজিস্টর এল ই ডি ক্ষেত্রে ৩ ভোল্টের বেশি ভোল্টেজ কে ড্রপ করে দিবে। রেজিস্টর প্রয়োজন মোতাবেক কারেন্ট ও ভোল্টেজ সরবরাহ করে থাকে।
এটি শুধুমাত্র একটি এল ই ডি ক্ষেত্রে উদাহরন। রেজিস্টর মূলত সকল ক্ষেত্রে এই ধরনের কাজ করে থাকে।
রেজিস্টর সার্কিটে সংযোগ পদ্ধতিঃ
সিরিজ সার্কিটে সংযোগ:
সিরিজ একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ হলো ধারাবাহিকভাবে। তাহলে এই ক্ষেত্রে একাদিল লোড (রেজিস্টর) একের পর এক বৈদ্যুতিক সোর্সের সাথে সংযুক্ত করে কারেন্ট প্রবাহের একটি পথ তৈরি কর
একাদিক লোড (রেজিস্টর) বৈদ্যুতিক উৎসের সাথে আড়াআড়িতে এমনভাবে (নিচের চিত্রের মতো) সংযুক্ত করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাদিক পথ থাকে।
আমরা এই লেখাতে শুধু রেজিস্টরের কিছু বেসিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের পরের লেখাটি হবে রেজিস্টরের মান নির্ণয় কালার কোডের মাধ্যমে এবং মাল্টিমিটার ব্যবহার করে।
রেজিস্টর নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে আপনাদেরকে অনুরোধ রইলো কমেন্ট করার। আপনারা আমদেরকে ভালো লাগা বা খারাপ লাগার বিষয়গুলো জানাতে পারেন। আর লেখা গুলো ভালো লাগলে আপনাদেরকে অনুরোধ রইলো শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ,,,,,

Good